Monday, March 24, 2014

সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়ার গুরুত্ব

Photo: ‎সঠিক পদ্ধতি ওড়না না পড়লে কবিরা গুনাহ হয় । এটা আমরা আগেই জেনেছি । আজ আমরা "কুরআন ও হাদিসে কোথায় ওড়না সম্পর্কে আলোচনা আছে ?" - তা জানবো । আমরা "ওড়না সঠিক পদ্ধতিতে না পড়লে কেন কবিরা গুনাহ হবে" - এই বিষয়ে আলোচনা অদুর ভবিষ্যতে করবো ইনশাআল্লাহ । 

কুরআনে ওড়না কথাটা আছে কি ? উত্তর হলো : ওড়না শব্দটা বাংলা আধনা বা উড়নি শব্দ হতে এসেছে । সুতরাং এই শব্দ কুরআনে নেই । কুরআন ও হাদিসে "খিমার" এবং "জিলবাব"  দুইটা শব্দ রয়েছে । খিমার শব্দের অর্থ অর্থ ওড়না, হেডকভার, বা বড় চাদর জাতীয় কাপড় । এই কাপড় দিয়ে মেয়েদের মাথা,গলা, কান ও সম্পূর্ণ বুক ঢাকার কথা  কুরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে । 

মুহাম্মদ (সা.)- এর সময় অধিকাংশ মেয়ে মাথার উপরে ওড়না টাইট করে বেধে পিছনের দিকে ফেলে রাখতো । তাদের গলা, কান ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ খোলা থাকতো । কেহ মেয়েদের দিকে তাকালে তাদের গলা ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ সহজে দেখতে পেতো । 

কুরআন নাযিল হওয়ার আগে সৌন্দর্য ও আভিজাত্য প্রকাশের জন্য বেশির ভাগ মেয়ে মাথায় এভাবে ওড়না পড়তো এবং কিছু মেয়ে মুখ ঢাকতো  । এসব কোন ধর্মের নিয়ম ছিলো না । এটা ছিলো তাদের সংস্কৃতির একটি অংশ । 

কিন্তু ওড়না তারা সঠিক পদ্ধতিতে পড়তো না বলে সমাজে বিশৃঙ্খলা, নগ্নতা ও অশালীনতার বিস্তার ঘটতো । এজন্য কুরআনের সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাজিল হয় যাতে বলা হয়েছে : 

 وليضربن
بخمرهن على جيوبهن

অনুবাদ :

১.“আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে ।“
অথবা
২.”তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে । “
অথবা
৩.”তারা যেনো  ওড়না বুকে ফেলে রাখে” 

ভাবানুবাদ : মুসলিম মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে । 

সুরা নুরের এই আয়াত নাযিল হলে মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়া শুরু করে । 

এব্যাপারে একটা সহিহ হাদিস হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন । হাদিসটা হলো :

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত,
يرحم الله نساء المهاجرات الأول، لما أنزل الله : وليضربن بخمرهن على جيوبهن شققن مورطهن فاختمرن بها.
আল্লাহ তাআলা প্রাথমিক যুগের মুহাজির মহিলাদের প্রতি দয়া করবেন । যখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত,” তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে (সূরা নূর : ৩১ )নাযিল করলেন, তখন তারা নিজে চাদর ছিঁড়ে ওড়না ওড়না হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে ।

হাদিসটা কোথায় আছে ? :
১. বোখারি শরীফের ৮ম খন্ডে ৪৩৯৮ নং হাদিস , বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন  । 
তবে তা প্রচলিত নিয়মে সন্নিবেশ করলে বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস হয় ।

২. এই হাদিসটাই সামান্য কয়েকটা শব্দের পার্থক্য ছাড়াই আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত হয়েছে আর এই বইয়ে এই হাদিসটার নাম্বার দেওয়া হয়েছে ৪০৯১ । 

সুরা নুরের এই আয়াতে “খিমার" خمر - শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে । এই আরবি শব্দটির অর্থ “কাভার" বা "ঢাকনা”। কোন কিছু ঢাকতে যা ব্যব হার করা হয়। সে ক্ষেত্রে টেবিল ক্লথ, জানালার পর্দা, চাদর, ওড়না, পোশাক যেকোন কিছু হতে পারে। আমরা এখানে খিমার শব্দের বাংলা অনুবাদ করেছি ওড়না । কারণ প্রসঙ্গ উল্লেখের কারণে এর অনুবাদ কখনোই জানালার পর্দা বা চাদর হবে না । 

সুতরাং কেহ যদি বলে ওড়না সঠিক পদ্ধতিতের পড়ার কথা কুরআনের কোথায় বলা আছে তাহলে আমরা লোকদের বলবো সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতে । 

আর হাদিসের কোথায় ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা আছে ? .. যদি কেহ বলে, তাহলে আমরা বলবো : বুখারী শরীফের বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস এবং আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত ৪০৯১ নং হাদিসে ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা হয়েছে । 

জেনে রাখা ভাল :

১. ওড়না মোটা কাপড়ে হতে হবে । পাতলা কাপড়ের ওড়না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে । কারণ :

এসম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা.) বলেন : সরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাযিল হলে মেয়েরা পাতলা কাপড় পড়া বাদ দিয়ে মোটা কাপড় সংগ্রহ করে এর দ্বারা ওড়না বানিয়ে নিয়েছিলো ।
(তাফসীরে ইবনে কাসির, হাদিস গ্রন্হ : আবু দাউদ )

আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন , আসমা বিনতে আবী বকর (রা:) পাতলা কাপড় পড়ে রাসুল (সা.) -এর বাড়ি বেড়াতে আসলেন । (আয়েশা রা. হলেন আসমা রা.-এর আপন বোন) । রাসুল (সা.) আসমা (রা.) –কে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, হে আসমা ! মেয়েরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তাদের এই অঙ্গ আর ওই  অঙ্গ ছাড়া  প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন ।
[  আবু দাউদ, হাদিস নং :৪১০৬ ; মিশকাত, হাদিস নং :৪৩৭২ ]

এসব  হাদিস এবং সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত হতে আমরা বুঝলাম : “মেয়েদের অবশ্যই মুখমন্ডল ও দুই হাতের কব্জি ছাড়া সম্পূর্ণ শরীর মোটা ঢিলা ও আরামদায়ক কাপড়ের পোষাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মোটা কাপড়ের ওড়না দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা, কান, গলা, পিঠ এবং সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে ।“ 

২. সম্পূর্ণ মাথা, কান,পিঠ, গলা ও সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখার জন্য ওড়না নিজের শরীরে সাথে মাপ মতো বানিয়ে নিতে হবে । বর্তমান সময়ের গামছার মতো সাইজের ওড়না ব্যবহার করে এসব অঙ্গ পুরোপুরি ঢেকে রাখা যায় না । সুতরাং এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে । 

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।‎



সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না না পড়লে কবিরা গুনাহ হয় । এটা আমরা আগেই জেনেছি । আজ আমরা "কুরআন ও হাদিসে কোথায় ওড়না সম্পর্কে আলোচনা আছে ?" - তা জানবো । আমরা "ওড়না সঠিক পদ্ধতিতে না পড়লে কেন কবিরা গুনাহ হবে" - এই বিষয়ে আলোচনা অদুর ভবিষ্যতে করবো ইনশাআল্লাহ ।

কুরআনে ওড়না কথাটা আছে কি ? উত্তর হলো : ওড়না শব্দটা বাংলা আধনা বা উড়নি শব্দ হতে এসেছে । সুতরাং এই শব্দ কুরআনে নেই । কুরআন ও হাদিসে "খিমার" এবং "জিলবাব" দুইটা শব্দ রয়েছে । খিমার শব্দের অর্থ অর্থ ওড়না, হেডকভার, বা বড় চাদর জাতীয় কাপড় । এই কাপড় দিয়ে মেয়েদের মাথা,গলা, কান ও সম্পূর্ণ বুক ঢাকার কথা কুরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে ।

মুহাম্মদ (সা.)- এর সময় অধিকাংশ মেয়ে মাথার উপরে ওড়না টাইট করে বেধে পিছনের দিকে ফেলে রাখতো । তাদের গলা, কান ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ খোলা থাকতো । কেহ মেয়েদের দিকে তাকালে তাদের গলা ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ সহজে দেখতে পেতো ।

কুরআন নাযিল হওয়ার আগে সৌন্দর্য ও আভিজাত্য প্রকাশের জন্য বেশির ভাগ মেয়ে মাথায় এভাবে ওড়না পড়তো এবং কিছু মেয়ে মুখ ঢাকতো । এসব কোন ধর্মের নিয়ম ছিলো না । এটা ছিলো তাদের সংস্কৃতির একটি অংশ ।

কিন্তু ওড়না তারা সঠিক পদ্ধতিতে পড়তো না বলে সমাজে বিশৃঙ্খলা, নগ্নতা ও অশালীনতার বিস্তার ঘটতো । এজন্য কুরআনের সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাজিল হয় যাতে বলা হয়েছে :

وليضربن
بخمرهن على جيوبهن

অনুবাদ :

১.“আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে ।“
অথবা
২.”তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে । “
অথবা
৩.”তারা যেনো ওড়না বুকে ফেলে রাখে”

ভাবানুবাদ : মুসলিম মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে ।

সুরা নুরের এই আয়াত নাযিল হলে মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়া শুরু করে ।

এব্যাপারে একটা সহিহ হাদিস হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন । হাদিসটা হলো :

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত,
يرحم الله نساء المهاجرات الأول، لما أنزل الله : وليضربن بخمرهن على جيوبهن شققن مورطهن فاختمرن بها.
আল্লাহ তাআলা প্রাথমিক যুগের মুহাজির মহিলাদের প্রতি দয়া করবেন । যখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত,” তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে (সূরা নূর : ৩১ )নাযিল করলেন, তখন তারা নিজে চাদর ছিঁড়ে ওড়না ওড়না হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে ।

হাদিসটা কোথায় আছে ? :
১. বোখারি শরীফের ৮ম খন্ডে ৪৩৯৮ নং হাদিস , বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন ।
তবে তা প্রচলিত নিয়মে সন্নিবেশ করলে বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস হয় ।

২. এই হাদিসটাই সামান্য কয়েকটা শব্দের পার্থক্য ছাড়াই আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত হয়েছে আর এই বইয়ে এই হাদিসটার নাম্বার দেওয়া হয়েছে ৪০৯১ ।

সুরা নুরের এই আয়াতে “খিমার" خمر - শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে । এই আরবি শব্দটির অর্থ “কাভার" বা "ঢাকনা”। কোন কিছু ঢাকতে যা ব্যব হার করা হয়। সে ক্ষেত্রে টেবিল ক্লথ, জানালার পর্দা, চাদর, ওড়না, পোশাক যেকোন কিছু হতে পারে। আমরা এখানে খিমার শব্দের বাংলা অনুবাদ করেছি ওড়না । কারণ প্রসঙ্গ উল্লেখের কারণে এর অনুবাদ কখনোই জানালার পর্দা বা চাদর হবে না ।

সুতরাং কেহ যদি বলে ওড়না সঠিক পদ্ধতিতের পড়ার কথা কুরআনের কোথায় বলা আছে তাহলে আমরা লোকদের বলবো সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতে ।

আর হাদিসের কোথায় ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা আছে ? .. যদি কেহ বলে, তাহলে আমরা বলবো : বুখারী শরীফের বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস এবং আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত ৪০৯১ নং হাদিসে ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা হয়েছে ।

জেনে রাখা ভাল :

১. ওড়না মোটা কাপড়ে হতে হবে । পাতলা কাপড়ের ওড়না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে । কারণ :

এসম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা.) বলেন : সরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাযিল হলে মেয়েরা পাতলা কাপড় পড়া বাদ দিয়ে মোটা কাপড় সংগ্রহ করে এর দ্বারা ওড়না বানিয়ে নিয়েছিলো ।
(তাফসীরে ইবনে কাসির, হাদিস গ্রন্হ : আবু দাউদ )

আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন , আসমা বিনতে আবী বকর (রা:) পাতলা কাপড় পড়ে রাসুল (সা.) -এর বাড়ি বেড়াতে আসলেন । (আয়েশা রা. হলেন আসমা রা.-এর আপন বোন) । রাসুল (সা.) আসমা (রা.) –কে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, হে আসমা ! মেয়েরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তাদের এই অঙ্গ আর ওই অঙ্গ ছাড়া প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন ।
[ আবু দাউদ, হাদিস নং :৪১০৬ ; মিশকাত, হাদিস নং :৪৩৭২ ]

এসব হাদিস এবং সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত হতে আমরা বুঝলাম : “মেয়েদের অবশ্যই মুখমন্ডল ও দুই হাতের কব্জি ছাড়া সম্পূর্ণ শরীর মোটা ঢিলা ও আরামদায়ক কাপড়ের পোষাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মোটা কাপড়ের ওড়না দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা, কান, গলা, পিঠ এবং সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে ।“

২. সম্পূর্ণ মাথা, কান,পিঠ, গলা ও সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখার জন্য ওড়না নিজের শরীরে সাথে মাপ মতো বানিয়ে নিতে হবে । বর্তমান সময়ের গামছার মতো সাইজের ওড়না ব্যবহার করে এসব অঙ্গ পুরোপুরি ঢেকে রাখা যায় না । সুতরাং এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ।

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।

Thursday, July 4, 2013

বিয়ের কনের শাড়ি পড়া

বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মেয়ে বিয়ের সময় শাড়ি পড়েন । বিয়ের পরও তারা কম-বেশী শাড়ি পড়েন । শালিনভাবে বিয়ের কনের শাড়ি পড়ার ধরণ লক্ষ্য করবো ।



১. ব্লাউজের হাতা অবশ্যই ঢিলা ও ফুল হাতা হতে হবে । পেট সম্পূর্ণ ঢাকার জন্য ব্লাউজ কোমড় পর্যন্ত মাপ দিয়ে বানাতে হবে ।









২. মাথা স্কার্ফ ও আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে । এজন্য বিশেষ ধরনের তিনটা পিন ব্যবহার করা যেতে পারে ।


















৩. মাথায় মানানসই অলংকার ব্যবহার করা যাবে ।











৪. হাতে, পায়ে ও গলায় অলংকার ব্যবহার করা যাবে ।



৫. মুখে প্রয়োজনীয় সাজ-গোজ করা যাবে ।




৬. হাতে-পায়ে মেহেদী লাগানো যাবে ।


বিয়ের অনুষ্ঠানের পর করণীয় : 



১.শাড়ি পড়ে বরের সাথে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ঘোড়াফেরা করা যাবে ।







২.বিয়ের অনুষ্ঠানে নিরব নিথর হয়ে বসে থাকা অনুচিত । বর ও অতিথীদের সাথে কথা বলতে হবে ।




৩.বিয়ের অনুষ্ঠানের পর বরের সাথে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে । বর নামাজ পড়াবে আর কনে মুনাজাত করে সবার কল্যাণ কামনা করবে ।


বিয়ের পর করণীয় : 


১. বিয়ের শেষে বর-কনে উভয়ই পরস্পর আস্হা, বিশ্বাস ও সমমর্যাদার ভিত্তিত্বে বসবাস করবে ।

২. উভয়কেই ইসলামী নীতিমালা মেনে সব সময় পোষাক পড়তে হবে । (এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য অন্য কোন লেখায় দেওয়া হবে ।)

৩. ইসলামের নীতিমালা অনুসারে পরিবার গঠণ করার জন্য চেষ্টা ও সাধনা করে যেতে হবে । বর-কনেকে আল্লাহর সন্তুষ্ঠি অর্জন করা এবং মৃত্যুর পর জান্নাতে বর-কনে একসাথে থাকার উপযোগী চিন্তা মাথায় রেখেই জীবন যাপন করতে হবে ।

৪. বর-কনে বিয়ের পর পরস্পরের প্রতি আস্হা ও ভালবাসা নিয়েই একত্রে বসবাস করে যেতে হবে ।


ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী কীভাবে শাড়ি পড়তে হয়, তা জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুন : http://www.dailymotion.com/video/xwgzh3_how-to-tie-a-sari-hijab-friendly-style_lifestyle

ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী কীভাবে শাড়ি পড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তা জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুন : http://www.dailymotion.com/video/xwh3c5_sari-hijaabified-for-wedding-ceremony_lifestyle


উপসংহার : 
ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী যে কোন পোষাক পড়া যায় । শালিনভাবে পোষাক পড়ার প্রায় সব পদ্ধতি ইসলামের নীতিমালাকে সমর্থন করে । আমাদের ইসলামী নীতিমালা মেনে পোষাক পড়তে হবে ও চলাফেরা করতে হবে । আমরা ইসলামী নীতিমালার আলোকে অন্য মেয়েদের শাড়ি পড়ার জন্য উপদেশ দিবো, তাদের এভাবে শাড়ি পড়ার জন্য সহায়তা করবো এবং দিক নির্দেশনা দিবো ।


আরো জানার জন্য এই পেজগুলো দেখুন : 

https://www.facebook.com/SareeHijab
http://www.facebook.com/SalwarKameezHijab/
http://www.facebook.com/WeWillMarryEarly
http://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales

মেয়েদের যেভাবে শাড়ি পড়া উচিত


কিছু দিন আগে আমার বোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় জানেতে চেয়েছিল : শাড়ি পড়ে নাঁচের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কি ইসলাম সম্মত ?

আমি বলেছিলাম : “ইসলামী নীতিমালা মেনে শাড়ি পড়ে সব ধরণের কাজই করা যাবে । আর নাঁচ-গান হতে হবে শালিন । অশালিন নাচ-গান অগ্রহণযোগ্য ।

আমি শাড়ি পড়া এমন অসংখ্য মহিলাকে চিনি,যাদের পর্দা করতে সমস্যা হয় না পর্দা করতে চাইলে যে কোন পোশাকেই করা সম্ভব ।“

কুরআন হাদিস অনুযায়ী মেয়েদের পর্দা হলো :
১. মাথায় ও বুকে  কাপড় দেয়া এবং মুখ হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখা
২. এমন ভাবে হাঁটা ও চলাফেরা করা যাতে শরীরের ভাঁজ বা  সৌন্দর্য্য অপ্রকাশিত থাকে । 
৩. স্বচ্ছ বা পাতলা কাপড়ের পোষাক পড়া যাবে না ।
৪. দৃষ্টি সংযত করে চলাফেরা করা ।
৫. সাভাবিক কন্ঠস্বর ব্যবহার করে কথা বলা ।


বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়ের পোষাক ধরণ ও এর কারণ :
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক তাদের মা-বোন-স্ত্রী-মেয়েদের ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী চলাতে দিক নির্দেশনা দেন না আর অধিকাংশ মেয়ে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ার ব্যাপারে সচেতন নয় ।  কারণ :

১. সবাই জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় ।

২. ছেলেরা ঘরে বাহিরে দাইয়ুস-দের মতো চলাফেরা করে আর অধিকাংশ মেয়ে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক না পড়ে মুতাবার্রিবা-দের মতো চলাফেরা করে ।

যেসব ছেলে তাদের মা-বোন-স্ত্রী-মেয়ে ও কর্মক্ষেত্রের মেয়েদের ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়তে অনুরোদ করে না বা দায়িত্ব অনুভতি জাগ্রত করে না, তাদের দাইয়ুস বলা হয় ।

আর যেসব মেয়ে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ে না তাদের মুতাবার্রিবা বলা হয় ।

রাসুল (সা.) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে দাইয়ুস ও মুতাবার্রিবা ধরনের লোকরা কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না ।

তবে যেসব দাইয়ুস তাদের ভুল বুঝতে পারার পর তাদের মা-বোন-স্ত্রী-মেয়ে ও কর্মক্ষেত্রের মেয়েদের ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়তে অনুরোদ করবে বা দায়িত্ব অনুভতি জাগ্রত করবে এবং এই উদ্দেশ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালাবে – তারা জান্নাতে যাবে ।

যেসব মুতাবার্রিবা তাদের ভুল বুঝতে পারার পর নিজে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ে এবং অন্য মেয়েদের ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়তে অনুরোদ করবে বা দায়িত্ব অনুভতি জাগ্রত করবে এবং এই উদ্দেশ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালাবে – তারা জান্নাতে যাবে ।



৩. কিছু ছেলে স্ত্রীদের পাতলা শাড়ি পড়িয়ে বাহিরে চলাফেরা করাকে সম্মানের কাজ মনে করে । অনেক ছেলে তাদের স্ত্রীদের দিয়ে গান চিত্রায়ন করে টেলিভিশনে প্রচার করে থাকে অনেক ছেলে তাদের পরিবারের মেয়েদের বেআব্রুভাবে সর্বত্র বিচরণ করার জন্য উৎসাহ-অণুপ্রেরণা দিয়ে থাকে
উপরন্তু ভারতীয় অনেক টিভি চ্যানেলে বেআব্রুভাবে শাড়ি পড়া অভিনেত্রীরা অভিনয় করে থাকে ।এসব শাড়ি পড়া মহিলাকে দেখে অনেক মেয়ে বেআব্রুভাবে শাড়ি পড়ে

সত্যিকার মুসলিমের মতো জীবন যাপন করতে হলে ইসলামের নীতিমালা অনুসরণ করেই শাড়ি পড়তে হবে


ইসলামের আলোকে শাড়ি ব্যবহার করার নিয়ম :
ইসলাম মেয়েদের যে কোন ধরণের পোষাক পড়ার অনুমতি দেয় তবে শর্ত হলো সে সব পোষাক অবশ্যই ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী পড়তে হবে


ইসলামের আলোকে শাড়ি পড়ার কিছু ধরণ আমরা লক্ষ্য করবো



বাড়িতে এভাবে শাড়ি পড়া যেতে পারে । এভাবে শাড়ি পড়ে সব ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করা যায় ।




বাড়ির বাহিরে যেয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করতে গেলে ছবির বাম দিকের মেয়েটার মতো শাড়ি পড়তে হবে
















চাকুরীর ইনটারভিউতে অংশ নিতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর সময় বা  অন্য কোন কোন কাজে অংশ নিতে  এভাবে শাড়ি পড়তে হবে



 বিয়ে ও জন্মদিন-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য এভাবে শাড়ি পড়া উচিত ।









বিয়ের কনেকে এভাবে শাড়ি পড়িয়ে সাজানো উচিত ।





ফেসবুকের প্রোফাইল পিকের জন্য এভাবে শাড়ি পড়তে হবে । ফেসবুকে নিজের ও বান্ধবীদের ছবি শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে । নিজের সব ছবি প্রাইভেট করে রাখা উচিত । একান্ত পরিচিত জনের মধ্যেই ছবি শেয়ার করা যেতে পারে ।


অন্যথায় চলতি নিয়ম অনুযায়ী শাড়ি পড়লে  নামাজ পড়া অশুদ্ধ হয়ে যাবে কারণ চলতি নিয়ম অনুযায়ী শাড়ি পড়লে শরীর ভালভাবে ঢেকে রাখা যায় না । ইসলাম মেয়েদের সাজ গোজ করার বিরোধী নয় । তবে অতিরীক্ত কোন কিছু ভাল নয় ।


ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী কীভাবে শাড়ি পড়তে হয়, তা জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুন :http://www.dailymotion.com/video/xwgzh3_how-to-tie-a-sari-hijab-friendly-style_lifestyle




ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী কীভাবে শাড়ি পড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তা জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুন : 
http://www.dailymotion.com/video/xwh3c5_sari-hijaabified-for-wedding-ceremony_lifestyle


উপসংহার :

ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী যে কোন পোষাক পড়া যায় । আমাদের ইসলামী নীতিমালা মেনে পোষাক পড়তে হবে ও চলাফেরা করতে হবে । আমরা ইসলামী নীতিমালার আলোকে অন্য মেয়েদের শাড়ি পড়ার জন্য উপদেশ দিবো, তাদের এভাবে শাড়ি পড়ার জন্য সহায়তা করবো এবং দিক নির্দেশনা দিবো


আরো জানার জন্য এই পেজগুলো দেখুন :





Wednesday, July 3, 2013

মহিলাদের মহিলা ইমাম-এর পেছনে নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য



সূচনা :

মহিলাদের জামায়াতে একজন মহিলা ইমাম হয়ে নামাজ পড়াবেন । এটাই ইসলামের বিধান। এই বিষয়ে অনেকেই তেমন কিছু জানেন না । আজ এই পোস্টে এসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো । এই পোস্টে মহিলা বলতে সব বয়সের মেয়ে বা Female-কে বুঝানো হচ্ছে ।মুক্তাদী বলতে ইমামের পেছনে নামাজ পড়া লোককে বোঝানো হয়েছে ।

মহিলাদের মহিলা ইমাম-এর পেছনে নামাজ পড়ার বিষয়ে মাযহাবের ইমামদের মত :
হানাফি মাযহাবের মত :যদি কোন মহিলা শুধুমাত্র মহিলাদের জামায়াতে কোন নামাজের ইমামতি করে তাহলে সে নামাজ সঠিক হবে । হিদায়া খন্ড : ১ পৃষ্ঠা : ৩০৫ ।বাদাউস সানাই খন্ড ১ পৃষ্ঠা : ১৫৭ ।
শাফেয়ী মাযহাবের মত :একজন মহিলা শুধুমাত্র মহিলাদের জামায়াতের ইমাম হতে পারবেন । তাদের এভাবে নামাজ পড়া মুস্তাহাব । আল মুগনি খন্ড : ১২ পৃষ্ঠা : ১৯৯ । বাদাই খন্ড : ১, পৃষ্ঠা : ১৫৭ ।
হান্বালী মাযহাবের মত : মেয়েদের মহিলা ইমামের পেছনে নামাজ পড়া গ্রহণযোগ্য । আল মুগনি খন্ড : ১২ পৃষ্ঠা : ১৯৯ ।
http://www.ummah.com/forum/showthread.php?287641-Can-a-woman-become-a-Imam

শাফেয়ী ও হান্বলী মাযহাবের গবেষকগণ আবু দাউদ শরিফের মহিলা সাহাবী উম্মু ওয়ারাকাহ (রা.) উপর ভিত্তি করে তাদের মত প্রদর্শন করেছেন ।
তবে উম্মু সালমাহ রা. ও আয়িশা রা. নিয়মিত মহিলাদের নামাজে ইমামতি করতেন । ( মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৮-৮৯ )

মহিলাদের মহিলা ইমাম-এর পেছনে নামাজ পড়ার বিষয়ে হাদিসসমূহ :
আগেই আমরা তিন হাদিস দেখলাম (দুইটা স্ক্রীণ সট দেওয়া হয়েছ)।আরো বিস্তারিত জানার জন্য এবার আমরা মহিলাদের মহিলা ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার কিছু হাদিস সম্পর্কে জানবো ।

১.

عَنْ أُمِّ وَرَقَةَ بِنْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ الْأَنْصَارِيِّ وَكَانَتْ قَدْ جَمَعَتِ الْقُرْآنَ وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَهَا أَنْ تَؤُمَّ أَهْلَ دَارِهَا وَكَانَ لَهَا مُؤَذِّنٌ وَكَانَتْ تَؤُمُّ أَهْلَ دَارِهَا ( حم : مسند القبائل : باب ما جاء في إمامة المرأة ، د : كتاب الصلاة 500)

উম্মে ওয়ারাক্বাহ বিনতে আব্দুল্লাহ ইবনিল হারিছ আল-আনসারী, যিনি ক্বুরআন শরীফ জমা করেছিলেন/কুরআন শরীফ পড়েছিলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরবাসীদের নামাজের ইমামতি করার জন্য উম্মে ওয়ারাক্বাহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তিনি ঘরবাসীদের নামাজের ইমামতি করতেন৷
( দেখুন : ১.মুসনাদুল ক্বাবাইল, বাবু মা জা- ফী ইমামাতিল মারআহ, ২.সুনান আবূ-দাঊদ ,কিতাবুস সালাহঃবাবুন ফী জিকরিল জামাআতি ওয়া আহলিহা ওয়া সিফাতিল ইমাম৷ ৩.মুসনাদ ইমাম আহমদ)

২.এবার দারুক্বুত্বনীতে বর্ণিত একই হাদীস তার অনুবাদ দেখিঃ

عن أم ورقة : أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أذن لها أن يؤذن لها ويقام وتؤم نساءها ( دار قطني : كتاب الصلاة : باب في ذكر الجماعة وأهلها وصفة الإمام)

"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মর্মে উম্মে ওয়ারাক্বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে অনুমতি দিয়েছিলেন যে, আজান ইক্বামত দেয়া হবে এবং তিনি (উম্মে ওয়ারাক্বাহ) মহিলাদের নামাজের ইমামতি করবেন (ওয়া তাউম্মা নিসা-আহা)"

৩. আয়িশা (রা.) বর্ণিত, আয়েশা রা. এবং উম্মে সালামাহ মেয়েদের নামাজের জামায়াতে ইমামতি করেছেন এবং এমনকি মেয়েদের ফরজ নামাজে তিনি ইমামতি করেছেন। 
উৎস: বাইহাকি ৩/১৩১, দারে কুতনী ১/৪০৪, আব্দুর রাজিক ৫০৮৬ ।

৪. ইবনে আবু লায়লা হতে আতা (রা.) বর্ণনা করেন, আয়েশা রা. আযান ও ইকামাত দিতেন এবং মেয়দের নামাজের জামায়াতে ইমামতি করতেন এবং তিনি তাদের মধ্যে একই সারিতে দাড়াতেন ।
উৎস: ইবনে আবু শায়বাহ ২/৮৯

৫. লাইস ইবনে আবু সুলাইম হতে আতা (রা.) বর্ণনা করেন, আয়েশা (রা.) আযান ও ইকামাত দিতেন এবং মেয়েদের নামাজের জামায়াতে ইমামতি করতেন এবং তিনি তাদের মধ্যে একই সারিতে দাড়াতেন ।
উৎস: মুসতাদরাকে হাকিম

৬. আম্মার আদ্দাহ্নি বর্ণিত, হুজাইরাহ্ নামক তার গোত্রীয় মহিলা বলেন, উম্মে সালামাহ (রা.) মহিলাদের নামাজে ইমামতি করার সময় একই সারিতে দাড়াতেন ।

আশ্শাফি : ৩১৫, ইবন আবি শাইবাহ : ৮৮/২, আব্দুর রাজিক : ৫০৮২

৭.আব্দুর রাজিক একই হাদিসে বলেন, উম্মে সালামাহ মহিলাদের আসর নামাজ পড়ালেন একই সারিতে দাড়িয়ে ।

৮.মুহাম্মদ ইবন আল-হুসাইন ইব্রাহিম আন্নাখি হতে বর্ণনা করেন : আয়িশা রা. রমজান মাসে মহিলাদের নামাজে একই সারিতে দাড়িয়ে ইমামতি করতেন । আদ্দিরাইয়াহ ১/১৬৯
৯. ইবনে আব্বাস বলেন, এক জন মহিরা মহিলাদের জামায়াতে তাদের মাঝে দাড়িয়ে ইমামতি করতে পারে । আব্দুর রাজিক ৫০৮৩

এসব হাদিস হতে প্রমাণ হলো :
১.মহিলাদের জামায়াতে একজন মহিলা ইমাম হয়ে নামাজ পড়াবেন ।
২.যখন একজন মহিলা নামাজে অন্য মহিলাদের ইমামতি করবেন তখন তিনি সারির মধ্যেখানে দাঁড়াবেন ।
৩.মহিলাদের মহিলা ইমাম-এর পেছনে নামাজ পড়ার সুন্নত ।

সুতরাং এভাবে নামাজ পড়ার মধ্য বরকত রয়েছে । মেয়েদের নামাযে মেয়েদের ইমামতি কিছুতেই বিদআত হতে পারে না ।



মহিলাদের মসজিদে যেয়ে জামাআতে নামাজ পড়ার হাদিস:

জামায়াতে নামাজ পড়ালে সোয়াব বেশী হয় । উপরন্তু ইসলাম জামায়াতবদ্ধ জীবন যাপনকে উৎসাহিত করে । এজন্য রাসুল (সা.)-এর যুগে মেয়েরা জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য নিয়মিত সব নামাজে নামাজ পড়াসহ অন্যান্য সামাজিক কাজে অংশ নেওয়ার জন্য মসজিদে যেতো । এজন্য মেয়েদের জামাআতে নামাজ পড়ার বিষয়ে অনেক হাদিস রয়েছে ।
এসব হাদিস হতে কয়েকটা হাদিস আমরা এক নজর দেখবো :  
 



. আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন: তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে বাধা দিও না। ( সহিহ মুসলিম, খন্ড ১, অধ্যায় ১৭৭, হাদিস নং : ৮৮৬ )

২. রাসুল (সা.) স্বামীদের উদ্দেশ্য করে বিশেষভাবে বলেছেন : যদি তোমাদের মধ্যকার কারো স্ত্রী মসজিদের আসার অনুমতি চায়, তাহলে তাকে মসজিদে আসতে নিষেদ করবে না ।( সহিহ বুখারী, খন্ড ১, অধ্যায় নামাজ, অনুচ্ছেদ ৮০, হাদিস নং : ৮৩২ )


.আবু হুরাইরা( রা.) বলেন, নবী (সা.)বলেছেন: তোমরা আল্লাহর দাসীদেরকে আল্লাহর মসজিদসমূহে আসতে নিষেদ করো না। তবে তারা যেনো সুগন্ধি ব্যবহার না করে বের হয়।
(সুনানে আবু দাউদ, খন্ড ১, অনুচ্ছেদ ৫৮, হাদিস নং : ৫৬৫ )

রাসুল (সা.)-এর যুগে মসজিদগুলোতে মহিলাদের প্রবেশাধিকার অবাদ ছিল । তাদের জন্য আলাদা প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তা ছিল । মেয়েরা শেষের দিকের সারিগুলোতে নামাজ পড়তেন । মসজিদ ইবাদতের স্হান । এখানে কেহ অসৎ উদ্দেশ্যে আসে না । যদি বাংলাদেশের মহিলারা বাড়ীতে বসে না থেকে মসজিদে এসে নামাজ পড়ে ও ইসলামী আলোচনা শোনে, তাহলে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের অবস্হা ইতিবাচক অবস্হার দিকে যাবে । এভাবে আমাদের দেশটা ইসলামী রাষ্ট্রে পরিনত হবে । এজন্য আমাদের মহিলাদের ইসলামী আলোচনা শোনা ইসলাম সম্বন্ধে জানার সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সকল মসজিদে মহিলাদের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করার জন্য জনমত গঠণ করতে হবে । তথ্যবিত্তিক যুক্তিনির্ভরভাবে  কুরআন হাদীসের আলোকে ইসলামের সঠিক সৌন্দর্য তুলে ধরে আলোচনা করার জন্য আমাদের আলেম সমাজকে সচেষ্ট হতে হবে ।


জামাআত কায়েম করতে হয় মসজিদে।যেখানে মসজিদ নেই, তখন ঘরে, অফিসে, মাঠ,রাস্তা -ঘাঠে,যানবাহনে অর্থাৎ যেকোনো স্থানেই নামাজের জামাআত কায়েম করা যায়।

যে কোন ছেলে ইমাম হয়ে স্ত্রী/কণ্যা/মা/বোনদের নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মসজিদগুলোতে মেয়েদের প্রবেশাধীকার দেওয়া হচ্ছে না । এই বিষয়টি মানবতাবিরোধী ও ইসলামবিরোধী । এই বিষয়ের উপর অদুর ভবিষ্যতে “মহিলাদের মসজিদে নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য” শিরোনামে একটা লেখা উপস্হাপন করবো । আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।

মহিলাদের জন্য নামাজে ইমামতির সময় মহিলা ইমাম কোথায় দাঁড়াবেন? :
কোন মহিলা যখন কিছু মহিলাদের জামায়াতে নামাজ পড়াবেন, তখন তিনি প্রথম সারির মধ্যখানে দাঁড়াবেন বা মহিলাদের সারির মাঝখানে দাঁড়াবেন যেমন: প্রথম সারিতে ১১ জন মেয়ে থাকলে তিনি ৬ নং স্হানে দাড়াবেন । এব্যাপারে গবেষকদের অভিমত:
১. ইমাম নববী (রহ.) বলেন: নামাজে অন্য মহিলাদের ইমামতিকারিনীর জন্য সুন্নাহ হল সারির মাঝখানে দাঁড়ানো। কারণ বর্ণনায় এসেছে যে, আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) উম্মু সালামাহ (রাদিআল্লাহু আনহা) মহিলাদের নামাজে ইমামতি করেছেন এবং তাঁরা সারির মাঝখানে দাঁড়াতেন ।
উৎস: আল মাজমু শারহ আল মুহায্যাব, খন্ড , পৃষ্ঠা ১৯২
২.ইবন কুদামাহ (রহ.) বলেন: যখন একজন মহিলা নামাজে অন্য মহিলাদের ইমামতি করবেন তখন তিনি সারির মধ্যেখানে দাঁড়াবেন - এটা সুন্নাহ।
উৎস: আল মুগনী, খন্ড , পৃষ্ঠা ৩৪৭
৩.উসাইমীন (রহ.) বলেন: মহিলারা যদি জামাআতে সালাত আদায় করে, তবে ইমামতিকারিনী সারির মধ্যখানে দাঁড়াবেন …..এর প্রমাণ সেই সব বর্ণনায় পাওয়া যায় যেখানে আয়িশা (রা.) উম্মু সালামাহ (রা.) এর থেকে এসেছে। এটাই ছিল মহিলা সাহাবিদের দৃষ্টান্ত।
উৎস: আল শারহ আল মুমতি, খন্ড , পৃষ্ঠা ৩৮৭
বর্ণিত আছে যে, আয়েশা (রাঃ) এবং উম্মে সালমা (রাঃ) যখন মেয়েদের ফরয নামাজ এবং তারাবীহ এর নামাজের জামাআতে ইমামতি করতেন তখন তাদের মাঝখানে দাঁড়াতেন।
http://www.darunnisa.net/worship.htm

নামাজের সময় মেয়েদের কোন ধরনের পোষাক পড়তে হবে:
১. মুখ মন্ডল, হাতের তালু ও পায়ের পাতা ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখার উপযোগী পোষাক পড়তে হবে । অন্যথায় নামাজ বাতিল বলে গণ্য হবে ।
২. মাথার চুল ও বুক ভালভাবে আবৃত হওয়ার মতো করে ওড়না ব্যবহার করতে হবে । অন্যথায় নামাজ বাতিল বলে গণ্য হবে ।
৩.নামাজের সময় পায়ের গোড়ালী ঢেকে রাখতে হবে অন্যথায় নামাজ বাতিল বলে গণ্য হবে ।
৪. যে পোষাক পড়লে শরীরের মাংসপেশীর ভাজ বোঝা যায় সে পোষাক পড়ে মেয়েদের নামাজ পড়া যাবে না । অন্যথায় নামাজ বাতিল বলে গণ্য হবে ।

সতর্কতা: যে পোশাক পড়লে মেয়েদের শরীরের মাংসপেশীর ভাজ বোঝা যায়, সেধরনের যে কোন পোশাক পড়া মেয়েদের জন্য হারাম এবং যে মেয়ে এধরনের পোষাক পড়বে তার কবিরা গুনাহ হবে । উল্লেখ্য এই কারণে মেয়েদের প্র্রচলিত স্কুল ও কলেজের ড্রেস পড়া কবিরা গুণাহের কাজ । যে বা যারা এসব পোষাক প্রবর্তন করেছে, বানিয়েছে, কিনে দিয়েছে, পড়েছে বা পড়তে বাধ্য করেছে – তারা সবাই জাহান্নামে যাওয়ার মতো কাজ করে যাচ্ছে । কারণ রাসুল (সা.) তাদের দাউয়ুস বলে অভিহিত করেছেন এবং তিনি বলেছেন. দাইয়ুস জান্নাতে যাবে না । আর এসব পোষাক পরিধানকারী মেয়েদের রাসুল (সা.) মুতাবার্রিবা বলে আক্ষায়িত করেছেন । তারাও জান্নাতে যেতে পারবে না । তবে যদি তারা এসব পোষাক পড়া ত্যাগ করে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়তে অভ্যস্হ হয় এবং এসব পোষাক সমাজ হতে উৎখাত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে তাহলে তারা হযরত সুমাইয়া (রা.),ফাতিমা (রা.) ও আয়িশা (রা.) সাথে জান্নাতে অবস্হান করবেন । সুতরাং আমাদের প্র্রচলিত স্কুল ও কলেজের ড্রেস কোড পরিবর্তনের জন্য দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলতে হবে । কারণ জান্নাতই আমাদের শেষ ঠিকানা এবং আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-ই সব আর বাকি সব মিথ্যা । সুতরাং মেয়েদের স্কুল ও কলেজের ড্রেসের পোষাক হতে হবে এমন যাতে মেয়েদের মুখ মন্ডল ও হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে থাকে এবং মেয়েদের শরীরের মাংসপেশীর ভাজ বোঝা অপ্রকাশিত থাকে ।



মহিলা ইমামের নামাজের সময় করণীয়:

১.নিচু স্বরে ইক্বামত দিবে।
২.মহিলা ইমাম ঘরে নামাজ পড়ালে স্বরবে কিরাআত পড়বে যাতে মহিলারা শুনতে পারে।
৩.মহিলা ইমাম ঘরের বাহিরে পার্কে বা রাস্তায় নামাজ পড়ালে মৃদু শব্দে কিরাআত পড়বে ।

নামাজের জামায়াতে সারিবদ্ধতার নিয়ম :
১.দুই জন লোক হলে জামাআতে নামাজ পড়া যাবে । তখন ইমাম বামে মুক্তাদী ডাইনে দাঁড়াবে।
২.তিনজন পুরুষ হলে ইমাম সম্মুখে এবং দুজন পুরুষ পিছনে দাড়াবে । বিশেষ কারণে ইমামের দুপাশে দুজন সমান্তরালভাবে দাঁড়াতে পারেন। তার বেশী লোক হলে অবশ্যই পিছনে সারি করতে দাড়াতে হবে ।




৩.যদি কিছু সংখ্যক পুরুষ ও কিছু সংখ্যক মহিলা জামায়াতে নামাজ পড়তে আসে, তাহলে সামনের সারিগুলো পুরুষগণ পিছনের সারিগুলোতে মহিলাগণ দাঁড়াবেন।






৪. যদি কিছু সংখ্যক পুরুষ ও কিছু সংখ্যক মহিলা জামায়াতে নামাজ পড়তে আসে, তাহলে
পুরুষ সকলের ইমাম হবেন। কিন্তু নারী কখনো পুরুষের ইমাম হবেন না। নারী পুরুষ কখনোই পাশাপাশি দাঁড়াবেন না।
৫. দুইজন বয়স্ক পুরুষ, একটি বালক একজন মহিলা মুছল্লী হলে বয়স্ক একজন পুরুষ ইমাম হবেন। তাঁর পিছনে উক্ত পুরুষ বালকটি এবং সকলের পিছনে মহিলা একাকী দাঁড়াবেন।
 
৬. যদি দুজন পুরুষ একজন মহিলা হন, তাহলে ইমামের ডাইনে পুরুষ মুক্তাদী দাঁড়াবেন এবং পিছনে মহিলা একাকী দাঁড়াবেন।
৭.একজন পুরুষ একজন মহিলা হলে সামনে পুরুষ পিছনে মাহিলা দাঁড়াবেন। এই ক্ষেত্রে ইমাম মেয়ের বাবা অথবা ভাই অথবা স্বামী অথবা ছেলে হতে হবে ।অন্যথায় এধরনের নামাজ বাতিল বলে গণ্য হবে ।
৮.ইমামকে মধ্যবর্তী ধরে কাতার ডাইনে বামে সমান করতে হবে। তবে ডাইনে সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে ।
৯.প্রয়োজনে ইমাম উঁচুতে মুক্তাদীগণ নীচে দাঁড়াতে পারেন।
১০.ইমামের আওয়ায পৌঁছলে ইমাম নীচে থাকুন বা উপরে থাকুন ছালাত আদায় করা জায়েয।
১১.এ ব্যক্তি দ্বিতীয়বার জামাআতে ইমাম বা মুক্তাদী হিসাবে যোগদান করতে পারেন। তখন দ্বিতীয়টি তার জন্য নফল হবে।
১২.ইমাম অতি দীর্ঘ করলে কিংবা অন্য কোন বাধ্যগত কারণে মুক্তাদী সালাম ফিরিয়ে জামাআত ত্যাগ করে একাকী শুরু থেকে ছালাত আদায় করতে পারবেন।
কাতার সোজা করা
১.সম্মুখের কাতারগুলি আগে পূর্ণ করতে হবে।
২.কাতার সোজা করতে হবে এবং কাঁধে কাঁধ পায়ে পা মিলাতে হবে। 


উপসংহার :
আজকরের এই নিবন্ধ হতে প্রমাণিত হলো :

মহিলাদের জামাতে নামায পড়া জায়েয । যদি
১.ইমামটা মহিলা হয়
অথবা
২.কিছু পুরুষ যদি কোন পুরুষ ইমামের পেছনে নামাজ পড়ে, তবে সেই জামায়াতে মেয়েরা সেই পুরুষ ইমামের পেছনে পুরুষদের পেছনে সারি বেধে নামাজ পড়বে । জামাতে নামাজ পরলে মেয়েরা পুরুষের পিছনে দাঁড়াবে একজন মহিলা হলেও
অথবা
৩.যদি কোন মেয়ের বা মেয়েদের পরিবারের আপন ভাই অথবা স্বামী অথবা ছেলে অথবা বাবা থাকে তাকে ইমাম বানিয়ে মেয়ে বা মেয়েরা নামাজ পড়তে পারে ।

ইসলাম জামায়াতবদ্ধ জীবন যাপন করাকে গুরুত্ব দেয় । কারণ জামায়াতে নামাজ পড়লে
সোয়াব বেশী এবং জামায়াতবদ্ধ লোকদের মধ্যে ইসলামী চেতনা জোড়ালো হয় ও পরস্পর সৌহার্দ-সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায় ।

নারী-পুরুষ-ছোট-বড় নির্বিশেষে সব মুসলিমকে মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়াসহ সব ধরণের সামাজিক-রাজনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করাই ইসলামের বিধান বলে সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে । সুতরাং বাংলাদেশের প্রতিটি মসজিদে মহিলাদের জন্য নামাজের ব্যবস্হা করার জন্য আমাদের সর্বাত্ম চেষ্টা করতে হবে । উপরন্তু যেসব মহিলা বা ছাত্রী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বা মহিলা নিবাসে অবস্হান করছেন তাদের প্রতিটা ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ মহিলা ইমামের পেছনে নিয়মিত পড়ার জন্য সচেতন হতে হবে । অন্যথায় ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ বিধান অবজ্ঞা করার জন্য হাসরের ময়দানে আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে ।