কিছু দিন আগে
আমার বোন
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় জানেতে চেয়েছিল : শাড়ি পড়ে
নাঁচের অনুষ্ঠানে
অংশ নেওয়া
কি ইসলাম সম্মত ?
আমি বলেছিলাম : “ইসলামী
নীতিমালা মেনে শাড়ি পড়ে সব ধরণের কাজই করা যাবে । আর নাঁচ-গান হতে হবে শালিন ।
অশালিন নাচ-গান অগ্রহণযোগ্য ।
আমি শাড়ি পড়া এমন
অসংখ্য মহিলাকে
চিনি,যাদের
পর্দা করতে সমস্যা হয় না ।
পর্দা করতে
চাইলে যে
কোন পোশাকেই করা সম্ভব ।“
কুরআন হাদিস অনুযায়ী মেয়েদের পর্দা হলো :
১. মাথায় ও বুকে
কাপড় দেয়া এবং মুখ ও
হাতের তালু
ছাড়া সমগ্র
শরীর ঢেকে
রাখা ।
২. এমন ভাবে হাঁটা
ও চলাফেরা করা যাতে শরীরের ভাঁজ বা সৌন্দর্য্য
অপ্রকাশিত থাকে ।
৩. স্বচ্ছ বা পাতলা কাপড়ের পোষাক পড়া যাবে না ।
৪. দৃষ্টি সংযত করে চলাফেরা করা ।
৩. স্বচ্ছ বা পাতলা কাপড়ের পোষাক পড়া যাবে না ।
৪. দৃষ্টি সংযত করে চলাফেরা করা ।
৫. সাভাবিক কন্ঠস্বর ব্যবহার
করে কথা বলা ।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়ের পোষাক ধরণ ও এর কারণ :
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক তাদের মা-বোন-স্ত্রী-মেয়েদের ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী চলাতে দিক নির্দেশনা দেন না । আর অধিকাংশ মেয়ে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ার ব্যাপারে সচেতন নয় । কারণ :
বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়ের পোষাক ধরণ ও এর কারণ :
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক তাদের মা-বোন-স্ত্রী-মেয়েদের ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী চলাতে দিক নির্দেশনা দেন না । আর অধিকাংশ মেয়ে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ার ব্যাপারে সচেতন নয় । কারণ :
১. সবাই জ্ঞানের ক্ষেত্রে
স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় ।
২. ছেলেরা ঘরে বাহিরে দাইয়ুস-দের মতো
চলাফেরা করে
। আর
অধিকাংশ মেয়ে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক না পড়ে মুতাবার্রিবা-দের মতো চলাফেরা
করে ।
যেসব ছেলে তাদের
মা-বোন-স্ত্রী-মেয়ে ও কর্মক্ষেত্রের মেয়েদের ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়তে
অনুরোদ করে না বা দায়িত্ব অনুভতি জাগ্রত করে না, তাদের দাইয়ুস বলা হয় ।
আর যেসব মেয়ে ইসলামী
নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ে না তাদের মুতাবার্রিবা বলা হয় ।
রাসুল (সা.) সুস্পষ্টভাবে
বলেছেন যে দাইয়ুস ও মুতাবার্রিবা ধরনের লোকরা কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না ।
তবে যেসব দাইয়ুস তাদের ভুল
বুঝতে পারার পর তাদের মা-বোন-স্ত্রী-মেয়ে ও কর্মক্ষেত্রের মেয়েদের ইসলামী নীতিমালা
অনুযায়ী পোষাক পড়তে অনুরোদ করবে বা দায়িত্ব অনুভতি জাগ্রত করবে এবং এই উদ্দেশ্যে
প্রাণপণ চেষ্টা চালাবে – তারা জান্নাতে যাবে ।
যেসব মুতাবার্রিবা তাদের ভুল
বুঝতে পারার পর নিজে ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ে এবং অন্য মেয়েদের ইসলামী
নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়তে অনুরোদ করবে বা দায়িত্ব অনুভতি জাগ্রত করবে এবং এই
উদ্দেশ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালাবে – তারা জান্নাতে যাবে ।
৩. কিছু ছেলে স্ত্রীদের পাতলা
শাড়ি পড়িয়ে
বাহিরে চলাফেরা করাকে সম্মানের কাজ মনে করে ।
অনেক ছেলে তাদের স্ত্রীদের দিয়ে গান
চিত্রায়ন করে
টেলিভিশনে প্রচার করে থাকে । অনেক ছেলে তাদের পরিবারের মেয়েদের বেআব্রুভাবে
সর্বত্র বিচরণ
করার জন্য
উৎসাহ-অণুপ্রেরণা
দিয়ে থাকে
।
উপরন্তু ভারতীয় অনেক টিভি
চ্যানেলে বেআব্রুভাবে শাড়ি পড়া অভিনেত্রীরা অভিনয় করে থাকে ।এসব শাড়ি পড়া
মহিলাকে দেখে
অনেক মেয়ে বেআব্রুভাবে শাড়ি পড়ে ।
সত্যিকার মুসলিমের মতো জীবন
যাপন করতে হলে ইসলামের নীতিমালা অনুসরণ করেই
শাড়ি পড়তে
হবে ।
ইসলামের আলোকে শাড়ি ব্যবহার করার নিয়ম :
ইসলাম মেয়েদের যে কোন ধরণের পোষাক পড়ার অনুমতি দেয় । তবে শর্ত হলো সে সব পোষাক অবশ্যই ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী পড়তে হবে ।
ইসলামের আলোকে শাড়ি
পড়ার কিছু
ধরণ আমরা
লক্ষ্য করবো
।
চাকুরীর ইনটারভিউতে অংশ নিতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর সময় বা অন্য কোন কোন কাজে অংশ নিতে এভাবে শাড়ি পড়তে হবে ।
ফেসবুকের প্রোফাইল পিকের জন্য এভাবে শাড়ি পড়তে হবে । ফেসবুকে নিজের ও বান্ধবীদের ছবি শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে । নিজের সব ছবি প্রাইভেট করে রাখা উচিত । একান্ত পরিচিত জনের মধ্যেই ছবি শেয়ার করা যেতে পারে ।
অন্যথায় চলতি নিয়ম অনুযায়ী শাড়ি পড়লে নামাজ পড়া অশুদ্ধ হয়ে যাবে । কারণ চলতি নিয়ম অনুযায়ী শাড়ি পড়লে শরীর ভালভাবে ঢেকে রাখা যায় না । ইসলাম মেয়েদের সাজ গোজ করার বিরোধী নয় । তবে অতিরীক্ত কোন কিছু ভাল নয় ।
ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী কীভাবে শাড়ি পড়তে হয়, তা জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুন :http://www.dailymotion.com/video/xwgzh3_how-to-tie-a-sari-hijab-friendly-style_lifestyle
ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী
কীভাবে শাড়ি
পড়ে বিয়ের
অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তা জানার
জন্য এই
ভিডিওটা দেখুন
:
http://www.dailymotion.com/video/xwh3c5_sari-hijaabified-for-wedding-ceremony_lifestyle
http://www.dailymotion.com/video/xwh3c5_sari-hijaabified-for-wedding-ceremony_lifestyle
উপসংহার :
ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী যে কোন পোষাক পড়া যায় । আমাদের ইসলামী নীতিমালা মেনে পোষাক পড়তে হবে ও চলাফেরা করতে হবে । আমরা ইসলামী নীতিমালার আলোকে অন্য মেয়েদের শাড়ি পড়ার জন্য উপদেশ দিবো, তাদের এভাবে শাড়ি পড়ার জন্য সহায়তা করবো এবং দিক নির্দেশনা দিবো ।
আরো জানার জন্য এই পেজগুলো দেখুন :
No comments:
Post a Comment