Monday, March 24, 2014

সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়ার গুরুত্ব

Photo: ‎সঠিক পদ্ধতি ওড়না না পড়লে কবিরা গুনাহ হয় । এটা আমরা আগেই জেনেছি । আজ আমরা "কুরআন ও হাদিসে কোথায় ওড়না সম্পর্কে আলোচনা আছে ?" - তা জানবো । আমরা "ওড়না সঠিক পদ্ধতিতে না পড়লে কেন কবিরা গুনাহ হবে" - এই বিষয়ে আলোচনা অদুর ভবিষ্যতে করবো ইনশাআল্লাহ । 

কুরআনে ওড়না কথাটা আছে কি ? উত্তর হলো : ওড়না শব্দটা বাংলা আধনা বা উড়নি শব্দ হতে এসেছে । সুতরাং এই শব্দ কুরআনে নেই । কুরআন ও হাদিসে "খিমার" এবং "জিলবাব"  দুইটা শব্দ রয়েছে । খিমার শব্দের অর্থ অর্থ ওড়না, হেডকভার, বা বড় চাদর জাতীয় কাপড় । এই কাপড় দিয়ে মেয়েদের মাথা,গলা, কান ও সম্পূর্ণ বুক ঢাকার কথা  কুরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে । 

মুহাম্মদ (সা.)- এর সময় অধিকাংশ মেয়ে মাথার উপরে ওড়না টাইট করে বেধে পিছনের দিকে ফেলে রাখতো । তাদের গলা, কান ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ খোলা থাকতো । কেহ মেয়েদের দিকে তাকালে তাদের গলা ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ সহজে দেখতে পেতো । 

কুরআন নাযিল হওয়ার আগে সৌন্দর্য ও আভিজাত্য প্রকাশের জন্য বেশির ভাগ মেয়ে মাথায় এভাবে ওড়না পড়তো এবং কিছু মেয়ে মুখ ঢাকতো  । এসব কোন ধর্মের নিয়ম ছিলো না । এটা ছিলো তাদের সংস্কৃতির একটি অংশ । 

কিন্তু ওড়না তারা সঠিক পদ্ধতিতে পড়তো না বলে সমাজে বিশৃঙ্খলা, নগ্নতা ও অশালীনতার বিস্তার ঘটতো । এজন্য কুরআনের সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাজিল হয় যাতে বলা হয়েছে : 

 وليضربن
بخمرهن على جيوبهن

অনুবাদ :

১.“আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে ।“
অথবা
২.”তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে । “
অথবা
৩.”তারা যেনো  ওড়না বুকে ফেলে রাখে” 

ভাবানুবাদ : মুসলিম মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে । 

সুরা নুরের এই আয়াত নাযিল হলে মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়া শুরু করে । 

এব্যাপারে একটা সহিহ হাদিস হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন । হাদিসটা হলো :

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত,
يرحم الله نساء المهاجرات الأول، لما أنزل الله : وليضربن بخمرهن على جيوبهن شققن مورطهن فاختمرن بها.
আল্লাহ তাআলা প্রাথমিক যুগের মুহাজির মহিলাদের প্রতি দয়া করবেন । যখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত,” তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে (সূরা নূর : ৩১ )নাযিল করলেন, তখন তারা নিজে চাদর ছিঁড়ে ওড়না ওড়না হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে ।

হাদিসটা কোথায় আছে ? :
১. বোখারি শরীফের ৮ম খন্ডে ৪৩৯৮ নং হাদিস , বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন  । 
তবে তা প্রচলিত নিয়মে সন্নিবেশ করলে বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস হয় ।

২. এই হাদিসটাই সামান্য কয়েকটা শব্দের পার্থক্য ছাড়াই আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত হয়েছে আর এই বইয়ে এই হাদিসটার নাম্বার দেওয়া হয়েছে ৪০৯১ । 

সুরা নুরের এই আয়াতে “খিমার" خمر - শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে । এই আরবি শব্দটির অর্থ “কাভার" বা "ঢাকনা”। কোন কিছু ঢাকতে যা ব্যব হার করা হয়। সে ক্ষেত্রে টেবিল ক্লথ, জানালার পর্দা, চাদর, ওড়না, পোশাক যেকোন কিছু হতে পারে। আমরা এখানে খিমার শব্দের বাংলা অনুবাদ করেছি ওড়না । কারণ প্রসঙ্গ উল্লেখের কারণে এর অনুবাদ কখনোই জানালার পর্দা বা চাদর হবে না । 

সুতরাং কেহ যদি বলে ওড়না সঠিক পদ্ধতিতের পড়ার কথা কুরআনের কোথায় বলা আছে তাহলে আমরা লোকদের বলবো সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতে । 

আর হাদিসের কোথায় ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা আছে ? .. যদি কেহ বলে, তাহলে আমরা বলবো : বুখারী শরীফের বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস এবং আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত ৪০৯১ নং হাদিসে ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা হয়েছে । 

জেনে রাখা ভাল :

১. ওড়না মোটা কাপড়ে হতে হবে । পাতলা কাপড়ের ওড়না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে । কারণ :

এসম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা.) বলেন : সরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাযিল হলে মেয়েরা পাতলা কাপড় পড়া বাদ দিয়ে মোটা কাপড় সংগ্রহ করে এর দ্বারা ওড়না বানিয়ে নিয়েছিলো ।
(তাফসীরে ইবনে কাসির, হাদিস গ্রন্হ : আবু দাউদ )

আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন , আসমা বিনতে আবী বকর (রা:) পাতলা কাপড় পড়ে রাসুল (সা.) -এর বাড়ি বেড়াতে আসলেন । (আয়েশা রা. হলেন আসমা রা.-এর আপন বোন) । রাসুল (সা.) আসমা (রা.) –কে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, হে আসমা ! মেয়েরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তাদের এই অঙ্গ আর ওই  অঙ্গ ছাড়া  প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন ।
[  আবু দাউদ, হাদিস নং :৪১০৬ ; মিশকাত, হাদিস নং :৪৩৭২ ]

এসব  হাদিস এবং সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত হতে আমরা বুঝলাম : “মেয়েদের অবশ্যই মুখমন্ডল ও দুই হাতের কব্জি ছাড়া সম্পূর্ণ শরীর মোটা ঢিলা ও আরামদায়ক কাপড়ের পোষাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মোটা কাপড়ের ওড়না দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা, কান, গলা, পিঠ এবং সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে ।“ 

২. সম্পূর্ণ মাথা, কান,পিঠ, গলা ও সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখার জন্য ওড়না নিজের শরীরে সাথে মাপ মতো বানিয়ে নিতে হবে । বর্তমান সময়ের গামছার মতো সাইজের ওড়না ব্যবহার করে এসব অঙ্গ পুরোপুরি ঢেকে রাখা যায় না । সুতরাং এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে । 

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।‎



সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না না পড়লে কবিরা গুনাহ হয় । এটা আমরা আগেই জেনেছি । আজ আমরা "কুরআন ও হাদিসে কোথায় ওড়না সম্পর্কে আলোচনা আছে ?" - তা জানবো । আমরা "ওড়না সঠিক পদ্ধতিতে না পড়লে কেন কবিরা গুনাহ হবে" - এই বিষয়ে আলোচনা অদুর ভবিষ্যতে করবো ইনশাআল্লাহ ।

কুরআনে ওড়না কথাটা আছে কি ? উত্তর হলো : ওড়না শব্দটা বাংলা আধনা বা উড়নি শব্দ হতে এসেছে । সুতরাং এই শব্দ কুরআনে নেই । কুরআন ও হাদিসে "খিমার" এবং "জিলবাব" দুইটা শব্দ রয়েছে । খিমার শব্দের অর্থ অর্থ ওড়না, হেডকভার, বা বড় চাদর জাতীয় কাপড় । এই কাপড় দিয়ে মেয়েদের মাথা,গলা, কান ও সম্পূর্ণ বুক ঢাকার কথা কুরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে ।

মুহাম্মদ (সা.)- এর সময় অধিকাংশ মেয়ে মাথার উপরে ওড়না টাইট করে বেধে পিছনের দিকে ফেলে রাখতো । তাদের গলা, কান ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ খোলা থাকতো । কেহ মেয়েদের দিকে তাকালে তাদের গলা ও বুকের বেশীর ভাগ অংশ সহজে দেখতে পেতো ।

কুরআন নাযিল হওয়ার আগে সৌন্দর্য ও আভিজাত্য প্রকাশের জন্য বেশির ভাগ মেয়ে মাথায় এভাবে ওড়না পড়তো এবং কিছু মেয়ে মুখ ঢাকতো । এসব কোন ধর্মের নিয়ম ছিলো না । এটা ছিলো তাদের সংস্কৃতির একটি অংশ ।

কিন্তু ওড়না তারা সঠিক পদ্ধতিতে পড়তো না বলে সমাজে বিশৃঙ্খলা, নগ্নতা ও অশালীনতার বিস্তার ঘটতো । এজন্য কুরআনের সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাজিল হয় যাতে বলা হয়েছে :

وليضربن
بخمرهن على جيوبهن

অনুবাদ :

১.“আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে ।“
অথবা
২.”তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে । “
অথবা
৩.”তারা যেনো ওড়না বুকে ফেলে রাখে”

ভাবানুবাদ : মুসলিম মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে ।

সুরা নুরের এই আয়াত নাযিল হলে মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়া শুরু করে ।

এব্যাপারে একটা সহিহ হাদিস হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন । হাদিসটা হলো :

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত,
يرحم الله نساء المهاجرات الأول، لما أنزل الله : وليضربن بخمرهن على جيوبهن شققن مورطهن فاختمرن بها.
আল্লাহ তাআলা প্রাথমিক যুগের মুহাজির মহিলাদের প্রতি দয়া করবেন । যখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত,” তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে (সূরা নূর : ৩১ )নাযিল করলেন, তখন তারা নিজে চাদর ছিঁড়ে ওড়না ওড়না হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে ।

হাদিসটা কোথায় আছে ? :
১. বোখারি শরীফের ৮ম খন্ডে ৪৩৯৮ নং হাদিস , বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন ।
তবে তা প্রচলিত নিয়মে সন্নিবেশ করলে বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস হয় ।

২. এই হাদিসটাই সামান্য কয়েকটা শব্দের পার্থক্য ছাড়াই আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত হয়েছে আর এই বইয়ে এই হাদিসটার নাম্বার দেওয়া হয়েছে ৪০৯১ ।

সুরা নুরের এই আয়াতে “খিমার" خمر - শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে । এই আরবি শব্দটির অর্থ “কাভার" বা "ঢাকনা”। কোন কিছু ঢাকতে যা ব্যব হার করা হয়। সে ক্ষেত্রে টেবিল ক্লথ, জানালার পর্দা, চাদর, ওড়না, পোশাক যেকোন কিছু হতে পারে। আমরা এখানে খিমার শব্দের বাংলা অনুবাদ করেছি ওড়না । কারণ প্রসঙ্গ উল্লেখের কারণে এর অনুবাদ কখনোই জানালার পর্দা বা চাদর হবে না ।

সুতরাং কেহ যদি বলে ওড়না সঠিক পদ্ধতিতের পড়ার কথা কুরআনের কোথায় বলা আছে তাহলে আমরা লোকদের বলবো সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতে ।

আর হাদিসের কোথায় ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা আছে ? .. যদি কেহ বলে, তাহলে আমরা বলবো : বুখারী শরীফের বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস এবং আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত ৪০৯১ নং হাদিসে ওড়না সঠিক নিয়মে পড়ার কথা বলা হয়েছে ।

জেনে রাখা ভাল :

১. ওড়না মোটা কাপড়ে হতে হবে । পাতলা কাপড়ের ওড়না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে । কারণ :

এসম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা.) বলেন : সরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাযিল হলে মেয়েরা পাতলা কাপড় পড়া বাদ দিয়ে মোটা কাপড় সংগ্রহ করে এর দ্বারা ওড়না বানিয়ে নিয়েছিলো ।
(তাফসীরে ইবনে কাসির, হাদিস গ্রন্হ : আবু দাউদ )

আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন , আসমা বিনতে আবী বকর (রা:) পাতলা কাপড় পড়ে রাসুল (সা.) -এর বাড়ি বেড়াতে আসলেন । (আয়েশা রা. হলেন আসমা রা.-এর আপন বোন) । রাসুল (সা.) আসমা (রা.) –কে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, হে আসমা ! মেয়েরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তাদের এই অঙ্গ আর ওই অঙ্গ ছাড়া প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন ।
[ আবু দাউদ, হাদিস নং :৪১০৬ ; মিশকাত, হাদিস নং :৪৩৭২ ]

এসব হাদিস এবং সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত হতে আমরা বুঝলাম : “মেয়েদের অবশ্যই মুখমন্ডল ও দুই হাতের কব্জি ছাড়া সম্পূর্ণ শরীর মোটা ঢিলা ও আরামদায়ক কাপড়ের পোষাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মোটা কাপড়ের ওড়না দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা, কান, গলা, পিঠ এবং সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে ।“

২. সম্পূর্ণ মাথা, কান,পিঠ, গলা ও সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখার জন্য ওড়না নিজের শরীরে সাথে মাপ মতো বানিয়ে নিতে হবে । বর্তমান সময়ের গামছার মতো সাইজের ওড়না ব্যবহার করে এসব অঙ্গ পুরোপুরি ঢেকে রাখা যায় না । সুতরাং এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ।

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।